মাগফিরাতের দশক বান্দার ক্ষমা প্রার্থনার মাহেন্দ্রক্ষণ

ধর্ম
মাওলানা মো. রাহাত উল্লাহ
০৫:২২:০৯পিএম, ১২ এপ্রিল, ২০২২
মাওলানা মুহাম্মদ রাহাত উল্লাহ।

বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (দঃ) বলেছেন, রামাদান মাসের প্রথম দশ দিন রহমত, দ্বিতীয় দশ দিন মাগফিরাত এবং তৃতীয় দশ দিন ইতকুন মিনান নার অর্থাৎ ‘দোযখ থেকে মুক্তির।’ – (মিশকাত)। মহান আল্লাহর একান্ত কৃপায় আমরা প্রথম ধাপ অতিক্রম করে বান্দার কাছে এল মাগফিরাতের দশক যা স্রষ্টার প্রতি বান্দার ক্ষমা প্রার্থনার মাহেন্দ্রক্ষণ।

রহমত মাগফিরাত আর নাযাতের বার্তা নিয়ে আগমন করা পবিত্র মাহে রামাদান ধীরে ধীরে রোজাদারের কাছ থেকে এখন মাঝ পথে। প্রকৃতপক্ষে রোজাদার আরবী শা’বান মাস থেকে রামাদানের প্রস্তুতি নিতে থাকে। এটা আমাদের প্রিয় নবীজির সুন্নত। এভাবে রমজানের শুরু হয়। রোজাদার প্রথম দশকে মহান আল্লাহর কাছে রহমত প্রত্যাশী হয়। মহান আল্লাহ তাঁর রহমতের চাদর দিয়ে রোজাদারকে ঘিরে রাখে। কারণ যতক্ষণ বান্দা রোজা অবস্থায় থাকে ততক্ষণ সে আল্লাহর রঙ্গে রঙ্গিন হয়ে যায়। অবশ্য আমাকে বিধি নিষেধ মেনে একজন খাঁটি রোজাদার, খাঁটি ঈমানদার হতে হবে। অতঃপর দ্বিতীয় দশকে রোজাদার আল্লাহর কাছে মাগফিরাত কামনা করে । বান্দা তার জানা-অজানা, শিরক, বিদআত, সগিরা-কবিরা ইত্যাদি সকল প্রকার অপরাধ থেকে দয়াময় ক্ষমাশীল আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে । মহান আল্লাহ তার তাওবাকারী বান্দাদের ক্ষমা করতে থাকেন। সাধারণত প্রথম দশকে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের প্রতি রহমত বা দয়া বর্ষণ করতে থাকবেন। দ্বিতীয় দশকে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের ক্ষমা করতে থাকবেন। তৃতীয় দশকে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের জাহান্নাম থেকে নাজাত বা মুক্তি দিতে থাকবেন।

এখানে একটি প্রশ্ন হতে পারে। তা হলো আল্লাহ যদি তাঁর বান্দাদের প্রতি রহমত বা করুণা করতে চান, মাগফিরাত বা ক্ষমা করতে চান, নাজাত বা মুক্তি দিতে চান; এবং তা যত মানুষের জন্যই হোক না কেন এবং যে পরিমাণেই হোক না কেন; তা তো তিনি মুহুর্তের মধ্যেই করতে পারেন। এর জন্য দশ দিন করে সময় লাগবে কেনো? রহমত, মাগফিরাত এবং নাজাতের জন্য দীর্ঘ সময় নির্ধারণ করে মহান আল্লাহ বান্দার জন্য কি ম্যাসেজ দিতে চান? প্রকৃত পক্ষে এখানে কিছু রহস্য লুকায়িত রয়েছে। আমরা যদি পবিত্র কুরআনের এই আয়াতের অর্থ এবং ব্যাখ্যা বুঝার চেষ্টা করি তাহলে হয়তো এই রহস্য বুঝার চেষ্টা করতে পারবো।

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআন কারিমে বলেছেন- হে মুমিনগণ তোমাদের প্রতি রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিলো তোমাদের পূর্ববর্তীদের প্রতি; আশা করা যায় যে তোমরা তাকওয়া অর্জন করবে। (সূরা বাকারা, আয়াত-১৮৩)।

মূলতঃ আল্লাহর সব কিছু একটি নির্দিষ্ট নিয়মে পরিচালিত। আমরা আমাদের দৃষ্টির সামনে মহাবিশ্বের যা কিছু দেখতে পাই তার সব কিছুই নিয়ম মেনে চলতে দেখি। এটা মহান আল্লাহর নির্ধারিত নিয়ম। রামাদানে আল্লাহ পাক তাঁর প্রিয় বান্দাকে সাহরি, ইফতার ও তারাবিহ আরও অন্যান্য নফল ইবাদতের এক সিংহদ্বার উম্মোচন করে দিয়েছেন। তাকওয়া অর্জনের সুযোগ করে দিয়েছেন। যে বান্দা নিয়ম মেনে সময়ানুবর্তী হয়ে আল্লাহর কাছে রহমত, মাগফিরাত এবং নাজাত প্রত্যাশী হবে আল্লাহ তাকে অবশ্যই দান করবেন। এটা আল্লাহর ওয়াদা। আল্লাহ যদি এগুলো তাঁর বান্দাকে না দিবেন তবে ইবাদতের এ মৌসুম কখনোই দিতেন না। এজন্যই তিনি একটি স্বল্প পরিমাণ সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তিনি দেখতে চান কোন কোন বান্দা এ সময়ের সদ্বব্যবহার করে থকে। আল্লাহ চান তাঁর বান্দা তাঁর গুণাবলি অর্জন করে সে গুণে গুণান্বিত হোক। আল্লাহ তাআলা কোরআন মাজিদে বলেন-আমরা গ্রহণ করলাম আল্লাহর রং, রঙে আল্লাহ অপেক্ষা কে অধিকতর সুন্দর? এবং আমরা তাঁরই ইবাদতকারী। (সূরা বাকারা, আয়াত- ১৩৮)।

প্রকৃত পক্ষে মাহে রামাদান তাকওয়া অর্জনের জন্য এক বিশেষ প্রশিক্ষণের মাস। তাকওয়া অর্জনের জন্য মহান আল্লাহ রামাদান মাসকে তিনটি ভাগে ভাগ করে বান্দাকে এক বেহেশতি প্রশিক্ষণের প্রশিক্ষণার্থী বানিয়েছেন। এখানে রাসুল (দঃ) কে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন ব্যবহারিক প্রশিক্ষক হিসেবে। যাতে বান্দা সময়ানুবর্তী এবং নিয়মানুবর্তী হয়ে আল্লাহর কাছে তার যাবতীয় অপরাধের ক্ষমা পেতে পারে । রামাদানের পর বাকি এগারো মাস এই নিয়মের মধ্যে থেকে বান্দা যেন যাবতীয় পাপাচার মুক্ত থাকতে পারে ।

পবিত্র মাহে রামাদানের এই মাগফিরাতের দশকে অবৈধ সম্পদ, ক্ষমতার অপব্যবহার সকল প্রকার পাপাচার থেকে মুক্ত থাকা। মিথ্যা, পরনিন্দা, গিবতসহ গুনাহের কাজ থেকে বিরত থাকার দৃঢ় সংকল্প করে মহান রাব্বে কারিমের কাছে কায়মনোবাক্যে মুক্তির প্রার্থনা করা।

মহান আল্লাহর স্বনির্ভরতা ও মুক্ততাসুলভ নামগুলো হলো আল আহাদু (একক), আল ওয়াহিদু (এক), আস সমাদু (স্বনির্ভর-অমুখাপেক্ষী), আল আদলু (ন্যায়ানুগ), আল হাক্কু (সত্য), আল ক্বাবিউ (সুদৃঢ), আল মাতিনু (শক্তিমান), আল ক্বাদিরু (ক্ষমতাবান), আন নুরু (জ্যোতির অধিকারী), আর রিশদু (দিব্যজ্ঞানী), আল জামিলু (সুন্দর), আল বাররু (সৎকর্মশীল), আল মুহসিনু (সুকর্তা) ইত্যাদি।

দুনিয়ার আকর্ষণ মানুষকে পাপে নিমজ্জিত করে। লোভ-লালসা মানুষের মনুষত্বকে ধ্বংস করে দেয়। তাই এ থেকে আমাদের দূরে থাকতে হবে। হাদিস শরিফে আছে, দুনিয়ার আকর্ষণ সব পাপের মূল। (বুখারি, মুসলিম ও তিরমিজি)।

মহান আল্লাহর রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের গুণ অর্জন ও আজীবন ধারণ করাই আমাদের জন্য রমজানের মূল শিক্ষা।

রামাদানের এ দশদিন বেশি বেশি করে কুরআন তিলাওয়াত করা। কারণ রমাদানের এই মাসে পবিত্র কুরআন নাযিল হয়েছিলো। মহানবী (সাঃ) যখন হেরা গুহায় মহান রবের প্রেমে ধ্যানমগ্ন ছিলেন তখন হযরত জিবরাঈল (আঃ) এর মাধ্যমে নাযিল হয় সূরা আলাকের প্রথম কয়েকটি আয়াত- আল্লাহ তায়ালা বলছেন, ‘পড় তোমার প্রতিপালকের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। তিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষকে এক আঠালো রক্তপিন্ড থেকে। তুমি পড়, কেননা তোমার প্রতিপালক পরম সম্মানিত, যিনি কলমের মাধ্যমে শিখিয়েছেন, তিনি মানুষকে তা শিখিয়েছেন, যা সে নিজে জানত না’ (সুরা আলাক, আয়াত : ১-৫)।

মাগফিরাতের দশক শুরু, মুমিনের করনীয়

খুব দ্রতই শেষ হয়ে গেলো রহমতে ভরা রামাদানুল মোবারকের প্রথম দশক। ক্ষমার ঘোষণা নিয়ে মাগফিরাতের দ্বিতীয় দশকের প্রথম দিন শুরু হচ্ছে আজ। রামাদানের প্রথম দশ দিনে যারা আল্লাহর রহমতে সিক্ত হয়েছেন, আজ তারা প্রস্তুতি নিয়েছেন মাগফিরাত আর করুণার বারিতে ভেজার। আমরা কী নিজেকে রহমতস্নাত করতে পেরেছি? রামাদানের এ দশকে আমরা মাগফিরাত থেকে বঞ্চিত হতে চাই না।

শুরু হওয়া মাগফিরাতের এ দশকে পাপি বান্দাদের পাপ মাফ করানোর সুবর্ণ সুযোগ। রামাদান মাসের প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাতের বৃষ্টি বর্ষিত হতে থাকে। মহান আল্লাহতায়ালা অসংখ্য-অগণিত মানুষকে এই মাসে ক্ষমা করেন। তবে যারা রামাদানের এই কল্যাণময় সময়গুলোও অবহেলা ও উদাসীনতায় দূরে ঠেলে দেয় তারাই বঞ্চিত থাকে আল্লাহর রহমত ও অনুগ্রহ থেকে।

রামাদানে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত রয়েছে।

রয়েছে আরো অনেক পুরস্কার আল্লাহর পক্ষ থেকে। সিয়াম ও কিয়াম ও অন্যান্য ইবাদতের মাধ্যমে তা লাভ করা যায়। যদি কেউ রোজা, তারাবিহসহ অন্যান্য ইবাদত না করে, তাহলে তার ভাগ্যে জিবরাঈল (আ.) এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বদদো‘আ ছাড়া আর কি থাকতে পারে?হযরত কা’ব ইবনে উজরা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- একদা রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদেরকে বললেন, তোমরা মিম্বরের নিকট সমবেত হও।

আমরা সকলেই তথায় উপস্থিত হলাম। যখন তিনি মিম্বরের প্রথম সিড়িঁতে পা রাখলেন, তখন বললেন-আমীন, যখন দ্বিতীয়সিঁড়িতে পা রাখলেন বললেন আমীন, যখন তিনি তৃতীয় সিঁড়িতে পা রাখলেন বললেন আমীন। হযরত কা’ব ইবনে উজরা (রা.) বলেন, যখন তিনি (মিম্বর থেকে) অবতরণ করলেন, আমরা জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আজ (মিম্বরে উঠার সময়) আমরা আপনাকে এমন কিছু কথা বলতে শুনেছি, যা ইতিপূর্বে কখনো শুনিনি। উত্তরে তিনি বললেন, জিবরাইল (আ.) আমার নিকট আগমন করেছিলেন, যখন আমি প্রথম সিড়িঁতে পা রাখলাম, তখন তিনি বললেন, ধ্বংস হোক ঐ ব্যক্তি যে রামাদান মাস পেল, তবুও তার গুনাহ মাফ হলো না। আমি বললাম, আমীন।

যখন দ্বিতীয় সিড়িঁতে পা রাখলাম তখন বললেন, ধ্বংস হোক ঐ ব্যক্তি যার নিকট আপনার নাম উচ্চারিত হলো অথচ সে আপনার প্রতি দরূদ পাঠ করলো না। আমি বললাম আমীন।

যখন তৃতীয় সিড়িঁতে পা রাখলাম, তখন বললেন, ধ্বংস হোক ঐ ব্যক্তি যে বৃদ্ধ পিতা-মাতা উভয়কে অথবা একজনকে পেল অথচ তারা উভয় তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাতে পারল না। অর্থাৎ তাদের খেদমতের মাধ্যমে নিজেকে জান্নাতবাসী করতে পারলো না। আমি বললাম, আমীন। (মুসলিম হাদীস নং-২৫৫১ ও তিরমিজি হাদীস-৩৫৪৫)

আল্লাহর রসুল (দ.) বলেছেন, রামাদানের প্রতি রাতে একজন ফেরেশতা ঘোষণা করতে থাকেন, হে পুণ্যের অন্বেষণকারী অগ্রসর হও! হে পাপাচারী! থাম, চোখ খোল! ফেরেশতা আবার বলেন, ক্ষমাপ্রার্থীকেই ক্ষমা করা হবে। অনুতাপকারীর অনুতাপ গ্রহণ করা হবে। প্রার্থনাকারীদের দোয়া কবুল করা হবে।
(আহমদ)

হজরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (দ.) এরশাদ করেন, আল্লাহ তাআলা রামাদান মাসের প্রত্যেক দিবস ও রাত্রিতে অসংখ্য ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন এবং প্রত্যেক মুমিন বান্দার একটি করে দুআ কবুল করেন। (মুসনাদে আহমদ, হাদীস ৭৪৫০)

হযরত আবু হুরয়রা (রা.) বলেন, রামাদান মাস লাভকারী ব্যক্তি যে উত্তমরূপে সিয়াম ও কিয়াম (রোজা, তারাবী ও অন্যান্য আমল) পালন করে, তার প্রথম পুরস্কার এই যে, সে রামাদান শেষে গুনাহ থেকে ঐ দিনের মতো পবিত্র হয় যেদিন মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হয়েছিল।(মুসলিম, হাদীস-৮৯৬৬)

হজরত সালমান ফারসি (রা.) থেকে বর্ণিত রসুলে করিম (সা.) বলেছেন, রামাদান মাসে চারটি কাজ বেশি বেশি করে করবে- দুটি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আর দু’টি কাজ যা না করলে তোমাদের কোনো উপায় নেই।

প্রথম দুই কাজ যা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করবে তা হলো কালেমায়ে তাইয়্যিবা ও ইস্তিগফার বেশি বেশি করে পড়বে।

দ্বিতীয় দুই কাজ যা নিজের জন্য করবে তা হলো আল্লাহর কাছে জান্নাত প্রার্থনা করবে ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি কামনা করবে। (বায়হাকি) রমজান আমাদেরকে আল্লাহর রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত লাভের সুবর্ণ সুযোগ করে দিয়েছে।

রামাদান মাস যখন শুরু হয়, তখন আল্লাহ পাক এই মাসের প্রথম রাতেই দশ লক্ষ বান্দাকে মাফ করে দেন, যাদের জন্য জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে রয়েছে এমন সব গুণাহগারদের মাফ করে দেন।

লাইলাতুল কদরের রাতে অসংখ্য অগণিত বান্দাকে মাফ করে দেন, আর মাসের ২৯ তারিখ রাতে সারা মাসের যত মাফ করা হয়েছে তার দ্বিগুণ, আর ঈদের রাতে আরো দ্বিগুণ সংখ্যক বান্দার গুনাহ মাফ করে দেন বলে হাদীসে বর্ণিত রয়েছে।

তবে কবীরা গুনাহের জন্য তওবা করে মাফ চাওয়ার কথা বলা হয়েছে। এভাবে পবিত্র রামাদানে নানাভাবে মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের জন্য গুনাহ মাফের উপলক্ষ্য তৈরি করে দিয়েছেন। এই মাগফিরাতের দশকে আল্লাহ আমাদের সে সুযোগ গ্রহণের তৌফিক দান করুন।

মাগফিরাতের এ দশদিন যথাযথ হক আদায় করে রোজাসহ অন্যান্য ইবাদত এবং নেক আমলসমুহের মাঝে কাটাতে চাই। আল্লাহতায়ালা আমাদের মাগফিরাত এবং নাজাতের বারিধারায় সিক্ত করুন। এই দশকে আমরা বেশি বেশি করে তাওবাহ, ইবাদত-বন্দেগী, কুরআন তেলাওয়াত, দান সদকা, তওবা, ইস্তেগফার ও দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। মাগফিরাতের এই দশকে আল্লাহতায়ালা আমাদের ক্ষমা করে দিন। আমিন।

মাওলানা মুহাম্মদ রাহাত উল্লাহ
লেখক, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক ও
সহকারী শিক্ষক
উত্তর রাঙ্গুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়,
রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম।