দলীয় প্রধানের পদ ছাড়লেন বরিস জনসন

আন্তর্জাতিক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৫:১৩:৩৭পিএম, ৭ জুলাই, ২০২২
ছবিঃ সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির দলীয় নেতার পদ থেকে আজ বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আসন্ন শরতে দলের নতুন নেতা নির্বাচনের আগ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
গত তিন দিন ধরে ক্ষমতাসীন কনজানরভেটিভ পার্টির মধ্যে তীব্র বিরোধ দেখা যাচ্ছে। মন্ত্রিসভা থেকে একের পর এক সদস্য পদত্যাগ করায় চাপের মুখে পড়েন বরিস জনসন। ব্রিটিশ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন এমন পরিস্থিতিতে দলীয় প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে আপাতত  প্রধানমন্ত্রীত্ব রক্ষার শেষ ট্রামকার্ডটি খেলেছেন জনসন।

গতকাল বুধবার একদিনে ২৭ জন মন্ত্রী পদত্যাগের পর বরিস জনসনের পুরনো দাবি দলের ভেতরেই সামনে আসে। ব্রেক্সিট ইস্যুকে কেন্দ্র করে ব্রিটেনের সমকালীন ইতিহাসে কনজারভেটিভ পার্টির সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুনের পদত্যাগের পর ক্ষমতায় আসেন থেরেসা মে। পরে তাকেও সরে যেতে হয়। নিজ দলের হলেও এ দুই প্রধানমন্ত্রীর বিদায়ে নেপথ্যের কলকাঠি নাড়েন বরিস- এমন অভিযোগ খোদ দলের ভেতরেই রয়েছে। 

ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করে ব্রিটেনকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৯ সালের ২৪ শে জুলাই ক্ষমতায় আসেন বরিস। ব্রেক্সিট হলে ব্রিটেনের ভালো হবে-এমন আশায় তখন একচেটিয়া জনসমর্থন ছিল বরিসের দিকে। 

 বিপরীতে লেবার পার্টির তৎকালীন নেতা জেরেমি করবিন ব্রেক্সিট গণভোটে কোন সুনির্দিষ্ট রুপরেখা দিতে পারেননি। ফলে বাড়তি সুবিধা পান বরিস জনসন। কিন্তু গত দুবছর ধরে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে দলের মধ্যে অনেকের আস্থা হারিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

লকডাউনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মদের পার্টি, বিতর্কিত নিয়োগ আর কেলেংকারিতে জড়ানোয় গত মাসেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে বরিস জনসনের নেতৃত্ব। পার্লামেন্টারি দলের ভোটাভুটিতে সে যাত্রায় টিকে গেলেও বৃহস্পতিবার দলীয় প্রধানের পদ ছাড়তে হয়েছে তাকে।