ডিমলায় ড্রেন নির্মাণে অনিয়ম

বাংলাদেশ
নুর কাইয়ুম, ডিমলা (নীলফামারী)
০৪:৩০:৪৪পিএম, ১০ আগষ্ট, ২০২২

নীলফামারীর ডিমলা সদর ইউনিয়নের বাবুর হাটে ড্রেনের নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের কাজ দেখে স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ করায় কাজ বন্ধ করে দেন কর্তৃপক্ষ। 

বৃহস্পতিবার(৪ঠা আগস্ট) এলাকাবাসীর প্রতিবাদের মুখে কাজ পরিদর্শনে আসেন নীলফামারী সওজ বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী আরাফাত রিপন ও উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী ইলিয়াস ফারুক। নিম্নমানের কাজ হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নে তারা জানান, তদারকি প্রতিষ্ঠান সড়ক ও জনপথ বিভাগকে না জানিয়ে উপরের (টপ) স্লাপ ঢালাইয়ের কাজ শুরু করেছে ঠিকাদার।

দরপত্র অনুযায়ী ৫ ইন্ঞ্চি দুরত্বে রড বাঁধার নির্দেশনা না মেনে রড কম দেওয়ায় কাজ বন্ধ করে দেন কর্তৃপক্ষ। সেই সাথে নির্মাণাধীন ড্রেনের প্রায় ২০ মিটার ড্রেন ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেন ঠিকাদারকে। এছাড়া কাজের গুণগত মান দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান উপ সহকারী প্রকৌশলী আরাফাত রিপন।

 স্থানীয়রা জানান, জমাট বাধা সিমেন্ট, নিম্নমানের ইটের খোয়া, ময়লা ও কাদামাটি মিশ্রিত পাথর, কাদার উপর বটম স্লাপ (বেইজ) ঢালাই, জং ধরা রডের ব্যবহার, উপরের স্লাপ ও দেয়ালে দরপত্রের শর্ত না মেনেই বাইরে ৫ ইঞ্চি দূরত্বের পরিবর্তে ১০ ইঞ্চি দূরত্বে রড বাঁধাসহ, পাথরের সঙ্গে বেশি পরিমাণে মাটি মিশিয়ে অপরিষ্কার ড্রেনের কাজ করা হচ্ছিল। কাজের গুণগত মান একেবারেই নিম্নমানের হওয়ায় এলাকাবাসী প্রতিবাদ করেন। এতে কাজ বন্ধ করে দেন কাজের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ড্রেনের গভীরতা কম হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

বাবুরহাট বাজারের ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, ৮ টি রডের জায়গায় ৫টি রড দিয়ে পাথরের সঙ্গে ময়লা আবর্জনা ও মাটি-বালু ব্যবহার করে ড্রেনের নির্মাণ কাজ করা হচ্ছিল।

অন্য আরেকজন স্থানীয় ব্যবসায়ী মোতালেব হোসেন বলেন, ঠিকাদারকে বারবার অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি। পরে বাধ্য হয়ে আমি আমার দোকানের সামনে নিজের টাকায় রড কিনে দিয়েছি ঠিকাদারকে।

আরো এক স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম জানান, নিম্নমানের খোয়া ও দেশীয় পাথরের সঙ্গে মাটি ব্যবহার করে বিজয় চত্বরের সামনে ড্রেনের কাজ করা হয়েছে।

নীলফামারী সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাবুরহাট বাজারের বিজয় চত্বর হতে শুটিবারি মোড় ও টিএনটি মোড় পর্যন্ত (ডিমলা-রংপুর) সড়কের দুই পাশে ৪৯০ মিটার ড্রেন নির্মাণে ৭২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি পায় ঢাকার ঠিকাদার আমিনুল ইসলাম। তবে কাজটি করছেন রাকিবুল ইসলাম অনিক নামে এক ব্যক্তি। তিনি সাবঠিকাদার হিসেবে ড্রেন নির্মাণের এ কাজ করছেন।

সাবঠিকাদার রাকিবুল ইসলাম বলেন, মিস্ত্রির হিসাবে গরমিল রড কম দেওয়া হয়েছে। কাজের খারাপ অংশ ভেঙে ফেলা হচ্ছে। নীলফামারী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মন্জুরুল করিম বলেন, আমি ছুটিতে আছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।