আর্তনাদ-হাহাকারে বিধ্বস্ত বালেশ্বর

আন্তর্জাতিক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১২:৩৩:৩৫পিএম, ৩ জুন, ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

ভারতে ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার দুঃসংবাদ ছড়িয়ে পড়ে দাবানলের মতো। গতকাল রাত থেকে সেই দুঃসংবাদ নিয়ে সময় কাটাচ্ছে গোটা দেশটি। মৃতের সংখ্যা ঘন্টায় ঘন্টায় বাড়ছে, বাড়ছে আহতের সংখ্যাও। ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছেন মন্ত্রী, নেতা, উদ্ধারকারী দল, রেলের যাত্রীদের আত্মীয় স্বজনেরা। যুদ্ধকালীন তৎপরতা, আর্তনাদ, হাহাকারে এখন বিধ্বস্ত বালেশ্বর।

গতকাল ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে সেখানেই। রাতের অন্ধকারে রেললাইনে পরপর দুটি দুর্ঘটনা, একই জায়গায়। মালগাড়ির সঙ্গে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের, এবং ওই করমণ্ডলের সঙ্গে ফের ধাক্কা যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের। একাধিক বগি লাইনচ্যুত। ট্রেনের বগি উঠে পড়েছে মালগাড়ির ওপরে। কোথাও লাইনচ্যুত বগিকে ধাক্কা দিয়ে অন্য লাইন হয়ে ছিটকে গিয়েছে অন্য ট্রেনের বগি। দুর্ঘটনার পর থেকে উদ্ধারকার্য শুরু হয়েছে।

কিন্তু ভয়াবহতার ১২ ঘন্টা পরেও শুধুই হাহাকার আর আর্তনাদ। কোথাও দুমড়ে গিয়েছে রেলের বগি। তার নিচেই আটকে রয়েছে যাত্রীর দেহ। কোথাও ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে ব্যাগের ভেতর সর্যত্নে বয়ে নিয়ে যাওয়া ঘরের দ্রব্যাদি। কোথাও দেখা যাচ্ছে শুধু একটা হাত, তার সূত্র ধরে দেহ উদ্ধারে এগিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। দিকে দিকে রক্ত। রাতের অন্ধকারের জন্য উদ্ধারকার্যে গতি আনতে পারেননি সেভাবে।

সকালে আরও স্পষ্ট হয়েছে ভয়াবহতার ছবি। বহু যাত্রী একটা দুর্ঘটনায় পরিণত হয়েছেন 'দেহ'তে। জানলার কাঁচ, কোথাও জানলা কেটে বের করে আনা হচ্ছে দেহ। শণাক্ত করা যায়নি বহু দেহ। কেউ দাঁড়িয়ে আছেন সহযাত্রীর দেহের সামনে।

কেউ হন্যে হয়ে খুঁজছেন পরিবারের লোকজনকে। শুধু বালেশ্বর নয়, একাধিক স্টেশনে ভিড় উদ্বিগ্ন পরিবার পরিজনদের। তাঁরা এখনো জানেন না তাঁদের পরিজনের খবর। কেউ শুধুই অপেক্ষা আর আশা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। সূত্র: অনলাইন