যুবলীগ কর্মী হত্যা, চেয়ারম্যানসহ আটক ৭

চাঁদপুরের মতলব উত্তরে যুবলীগ কর্মী মোবারক হোসেন বাবু নিহতের ঘটনায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ।শনিবার (১৭ জুন) গুলিতে আওয়ামী লীগ কর্মী মোবারক হোসেন বাবু নিহতের ঘটনায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে তার ভাই আমির হোসেন কালু থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় রবিবার পর্যন্ত ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার দুপুরে মোহনপুর আলী আহম্মদ মিয়া বহুমূখী কলেজ মাঠে ময়না তদন্ত শেষে মোবারক হোসেন বাবুর জানাযা শেষে বাহাদুরপুরে পারিবারিক কবররস্থানে দাফন করা হয়। এদিকে মোবারক হোসেন বাবুর মরদেহ মোহনপুরে নিয়ে আসলে বিক্ষুব্ধ জনতা মিছিল সমাবেশ ও কাজী মিজানুর রহমানের কুশপূত্রলিকা দাহ করে প্রতিবাদ জানান।
এদিকে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রবিবার সকালে মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ। দুপুর ১টায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) পলাশ কান্তি নাথ।
এ ঘটনায় সাবিয়া বেগম, মুছা গাজী, আনোয়ার হোসেন শেখ, জুয়েল কবিরাজ, মোশারফ হোসেন মিজি, সাহিনা বেগমকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। আদালত আসামীদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো জানান, আটক হওয়া কাজী মিজানুর রহমান এই মামলার প্রধান আসামি। এরই মধ্যে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, মামলার অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশ ঘটনাস্থল ও তার আশপাশে অভিযান চালাচ্ছে।
এর আগে শনিবার বিকেলে মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মেঘনা নদীর পশ্চিম পার বাহাদুরপুর এলাকায় প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হন যুবলীগ কর্মী মোবারক হোসেন বাবু (৪৮)। এই ঘটনায় তার ছেলে ইমরান (১৮), জসিম উদ্দিনসহ (৩০) আরো একজন গুলিবিদ্ধ হন। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিএনপির সমাবেশ থেকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে মোহনপুর ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা হাই স্কুল মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। আর এই সমাবেশে যোগ দিতে মিছিল নিয়ে আসার পথে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন মোবারক হোসেন বাবুসহ বেশ কয়েকজন। এ সময় বাহাদুরপুর গ্রামের রাজ্জাক প্রধানিয়ার বাহাদুরপুর গ্রামের বাড়ি থেকে পূর্ববিরোধের জের ধরে মিছিলকারীদের ওপর হামলা চালায়।