মুইজ্জুর দলের জয়ে মালদ্বীপ-চীন আরও কাছে, ‘উদ্বেগে’ ভারত

আন্তর্জাতিক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৮:০৩:৫৯পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

মালদ্বীপের পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জুর দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি) বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে। আর তার দলের এ জয়ের পর থেকে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে আলোচনা। বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনের এই ফল দ্বীপ রাষ্ট্রটিকে তাদের দীর্ঘদিনের মিত্র ভারত থেকে দূরে সরিয়ে চীনকে আরও ঘনিষ্ঠ করে তুলতে সাহায্য করবে।

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস জয় পাওয়ার পর থেকে দেশটির ওপর ভারতের প্রভাব কমতে পারে- তা আগে থেকেই ধারণা করছিলেন বিশ্লেষকরা। আর সেই ধারণাকে সত্যি করেন প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু। ক্ষমতা হাতে পেয়েই ভারতের সেনা প্রত্যাহারের পাশাপাশি নিতে থাকেন নানা পদক্ষেপ। এরইমধ্যে চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ান তিনি।
 
এরই ধারাবাহিকতায় এবার দেশটির পার্লামেন্টেও জয় পেলো মুইজ্জুর দল। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, মালদ্বীপের এবারের পার্লামেন্ট নির্বাচন দু’টি কারণে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল। এর প্রথমটি হলো মুইজ্জুর ভারতবিরোধী অবস্থান এবং চীনঘেঁষা নীতি মালদ্বীপের মানুষের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য তা পরখ করার একটা পরিসর তৈরি করছিল এই নির্বাচন।

দ্বিতীয় কারণটি হলো, মোহামেদ মুইজ্জু প্রেসিডেন্ট হলেও দেশটির পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় বিরোধী পক্ষের আইনপ্রণেতাদের আপত্তিতে তার মনোনীত তিনজনের মন্ত্রিসভায় যোগদান আটকে যায়। মুইজ্জু প্রস্তাবিত কয়েকটি বিল পাসেও আপত্তি জানান বিরোধীরা।
তবে, এবার পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীনদের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
 
অন্যদিকে, মালদ্বীপের এই নির্বাচনকে চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য মুইজ্জুর পরিকল্পনার পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছিল। প্রেসিডেন্টর দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি বেইজিং সফর করেন। সফরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংসহ দেশটির উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

দেশটির বিদেশনীতি, বিশেষ করে ভারত ও চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এছাড়া মুইজ্জু জোটের জয় চীনের সঙ্গে মালদ্বীপের ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়াবে, যা ভারত মহাসাগর অঞ্চলে কৌশলগত ভারসাম্যকে প্রভাবিত করতে পারে।