আজ নারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দেশের সব নারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করা হবে। সকাল সাড়ে ১০টায় কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তাদের সম্মাননা প্রদান করা হবে। স্বাধীনতা অর্জনের পর মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতস্বরূপ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তাদের এই প্রথম জাতীয়ভাবে সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বর্ণাঢ্য ও যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে উদযাপন উপলক্ষে গঠিত সমন্বয় উপকমিটির দ্বিতীয় সভায় মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান কর্মসূচি বাস্তবায়নের দায়িত্ব মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওপর অর্পণ করা হয়। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানটি একই সময়ে দেশের সব জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া তালিকার ভিত্তিতে ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন এবং সকল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মোট ৬৫৪ জন মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদান করা হবে।
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
সম্মাননা পাওয়া সব মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা স্মারক, উত্তরীয়, শাড়ি ও স্যুভেনিয়র প্রদান করা হবে। জেলা পর্যায়ে যথাযথভাবে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানটি উদযাপনের লক্ষ্যে সব জেলা প্রশাসক ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে অনলাইনে সংযুক্ত থাকবেন। জেলা প্রশাসকরা তাদের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে সংশ্লিষ্ট জেলার মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা স্মারক, উত্তরীয়, শাড়ি ও স্যুভেনিয়র প্রদান করবেন।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান উপলক্ষে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন দ্বারা সজ্জিত করা হবে। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে মুজিব বর্ষের থিম সং এবং মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরবময় ও সংগ্রামী জীবনের ওপর নির্মিত গীতিআলেখ্য পরিবেশিত হবে। এ অনুষ্ঠানে সম্মাননা পাওয়া মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করবেন। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হবে।
